Posts

Showing posts from November, 2012

ভবিষ্যত বাবা মায়েদের জন্য

আর নয় বকাঝকা! পোষ্টটি ভবিষ্যত বাবা মায়েদের জন্য। জন্মের পর থেকেই মানুষের মস্তিষ্কে নতুন নতুন কোষ গঠনের একটি প্রক্রিয়া চলমান থাকে। একে বলা হয় 'নিউরোজেনেসিস'। এ সময় পুরনো কোষ ভেঙে নতুন কোষ তৈরি হয়। এ প্রক্রিয়া চলতে চলতেই একসময় একটি শিশু একজন পরিণত মানুষ হয়ে ওঠে। কিন্তু শৈশব বা উঠতি বয়সে বকাঝকা, শারীরিক ও মানসিক অত্যচারে এই প্রক্রিয়া নাটকীয়ভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে এ বয়সের ছেলেমেয়েরা অনেক অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। নিউরোজেনেসিস-প্রক্রিয়ায় বাঁধা তৈরি হয় বলে শিশু ও উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের মস্তিষ্ক ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি বিবেচনা করুন; বেয়াড়া-পনার জন্য আসলে তারা নিজেরা দায়ী নয়-দায়ী তাদের বয়স। শৈশবে বা টিনএজ বয়সে মানুষের মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করে না। তাই বেয়াড়াপনার জন্য আসলে তাদের দায়ী করা ঠিক হবে না। কাজেই শুধু বকাঝকা না করে অভিভাবকদের ব্যাপারটি অনুধাবন করে ওই সময়টিতে তাঁদের সন্তানদের ব্যাপারে আরো অনেক বেশি সহনশীল হতে হবে।

₹ মোবাইল প্রেমের একটা কাহিনী ₹

Image
সময়টা ২০০৫ বা তার কাছাকাছি , গাইবান্ধা সরকারী কলেজের মাঠে কতগুলো ছেলে গোল হয়ে আড্ডা দিচ্ছে । এখন ১ বা দেড় টাকায় যেখানে ১ মিনিট কথা বলাযায় সেই সময় বিল লাগত প্রায় ৪ থেকে সাড়ে চার টাকার মত , আর রাস্তার মোড়ে মোড়েও ফ্লেক্সি লোডের দোকান ছিল না । সময়টা বোধ হয় অনুমান করতে পারছেন । মাত্র ssc পাশ করে কলেজে ওঠার পর ছেলেমেয়েদের ভেতর যেন প্রেমের আবেগ বেয়ে বেয়ে ঝুলে ঝুলে পড়ে এমন এক পরিস্তিতি বিরাজ করে , যার এক প্রতিফলন হচ্ছিল গাইবান্ধা সরকারি কলেজের সেই আড্ডারত ছেলেগুলার মাঝে । যাহোক নতুন মোবাইল আর সেই মোবাইলের ভেতর যদি ইচ্ছে করলেই নারী কন্ঠ শোনা যায় তাহলে তো খুবই ভাল । বন্ধুরা সবাই ফাজলামি করতে করতে ভিকারুন্নেসার পপি নামের একটা মেয়ের সাথে ফাজলামি টাইপের মিস কল নামক জিনিস শুরু হল । সেই মিসকল দিয়ে বিরক্ত করার অধ্যায় শেষ হল তাদের মোবাইল প্রেমের ভেতর দিয়ে । মেয়েটা মাত্র ক্লাস এইটে পড়ে আর প্রশান্ত পড়ে ইন্টার মিডিয়েট...সে হিসেবে তাদের future plan ও তারা শুরু করে দিল । পপি ssc পাশ করল আর এই সময়ের ভেতর প্রশান্ত বিভিন্ন যায়গায় ইঞ্জিনিয়ারিং এর এ্যডমিশন দিতে লাগল । ছেলেটা তিন মাস কো...

আমার জীবনের সবটুকু

আমি যে শুধু তোমাকেই ভালোবাসি, তোমাকেই চাই, তোমার চেহারা দেখে আমি বলি নি ভালোবাসি।। আমি যে মন দিয়ে তোমাকে চিনেছি, আমার জীবনের সবটুকু পাওয়া আমি তোমার মাঝেই পেয়েছি।। তুমি আমাকে শত বার ফিরে যেতে বললেও আমি যাবো না, তবে এভাবেই ভালোবেসে যাবো সবসময়।।
কখনোই কাউকে খুব বেশি বিশ্বাস করবেন না।। খুব বেশি ভালোবাসবেন না।। প্রিয়জনের কাছ থেকে খুব বেশি আশা ও করবেন না।। কারণ আপনি যখন কাউকে খুব বেশি ভালোবাসবেন, বিশ্বাস করবেন, সে তখন আপনাকে এতোটাই কষ্ট দিবে যা আপনি সহ্য করতে পারবেন না।।

ভালোবাসা কি??

একজন ছাত্র তার টিচারকে জিজ্ঞেস করলো, ''ভালবাসা কি?'' শিক্ষক বললো,''আমি তোমার উত্তর দেব, কিন্তু তার আগে তোমাকে একটি কাজ করতে হবে। আমাদের স্কুলের সামনে যে ভুট্টার ক্ষেত আছে তুমি সেখানে যাও এবং সবচেয়ে বড় ভুট্টাটি নিয়ে ফিরে এসো।'' ''কিন্তু একটা শর্ত আছে, তুমি সবচেয়ে বড় ভুট্টাটি খুঁজে নিয়ে আসবে এবং খুঁজতে খুঁজতে যে ভুট্টাটি পেছনে ফেলে গেছ তা আর নিতে পারবে না''ছাত্রটি মাঠে গেল এবং ভুট্টার ক্ষেতের প্রথম সারিতে খোঁজা শুরু করলো। সেই সারিতে একটা বড় ভুট্টাছিল কিন্তু সে ভাবলো. ..হয়তো সামনের সারিতে আরো বড় কোন ভুট্টা তার জন্য অপেক্ষা করছে। পরে,যখন সে মাঠের অর্ধেকের বেশি খোঁজা শেষ করলো তখন বুঝতে পারলো এদিকের ভুট্টাগুলো ঠিক অতটা বড় নয় যতটা বড় সে আগেই খুঁজে পেয়েছিল। ছাত্রটি বুঝলো যে সবচেয়ে বড় ভুট্টাটি সে পেছনেই ফেলে এসেছে এবং এজন্য তার অনুশোচনার শেষ থাকলো না। তাই সে খোঁজা বাদ দিয়ে খালি হাতেটিচারের কাছে ফিরে এল। টিচার তাকে বললো,''....এটাই ভালবাসা....তুমি হয়তো জীবনে কাউকে খুঁজে পেয়েছো, কিন্তু তবু আরো ভাল কাউকে প...

ভালোবাসার খুনসুটি

একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে অনেক বছর ধরে খুব ভাল বন্ধু ছিল। তারা ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলত এবং একজন আরেকজনকে নিয়মিত এসএমএস পাঠাতো।যখন তারা একসাথে থাকত কোন দুঃখ তাদেরকে ছুতে পারত না । সবকিছু ভালই চলছিল কিন্তু একদিন ছেলেটি মেয়েটির কোন কল রিসিভ করল না ,এমনকি কোন ম্যাসেজেরও উত্তর দিল না। ছেলেটির কিছু হয়েছে কিনা এটা নিয়ে মেয়েটা বেশ চিন্তিত ছিল..:( রাতে সে ঘুমাতে পারল না , নিজের রুমের দরজা লাগিয়ে সারারাত কাঁদল । এরপর থেকে মেয়েটা উপলব্ধি করতে শুরু করল যে , ছেলেটি তার কতটা আপন..! [পরদিন সকালে] মেয়েটির ঘুম ভাঙল ফোনকলের শব্দে....হ্যা ,ছেলেটিই কল করেছে..:) ছেলে : হ্যালো.. মেয়ে : এই কুত্তা গতকাল আমার ফোন রিসিভ করিস নি কেন ,কোথায় ছিলি তুই ?? ছেলে : আমি ব্যস্ত ছিলাম [মেয়েটি বুঝতে পারল কিছু একটা হয়েছে কিন্তু ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করল না] [নিরবতা] ছেলে : আমাদের কথা বলা বন্ধ করা উচিত। মেয়ে: কি??.. কিন্তু কেন ?? ছেলে: আমি দুঃখিত, বিদায়..! [ছেলেটি ফোন কেটে দিল, মেয়েটি অনুভব করল কেউ বোধহয় তার মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিল] পুরোনো স্মৃতি মনে পড়ে মেয়েটির ! মনে পড়ে একসাথে লং ড্রাইভ...

ভালোবাসার নিদিষ্ট মাত্রা

সবকিছুরই একটা নিদিষ্ট মাত্রা আছে। আজ বুঝলাম ভালোবাসার ক্ষেত্রেও সেটা প্রযোজ্য। কাউকে ভালবাসলে এমনভাবে ভালবাসবেন যেন সে চলে যেতে চাইলে আপনাকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নিতে না হয়। ভালোবাসার মানুষকে যতটুকু ভালোবাসা যায়, ঠিক ততটুকুই ভালবেসেছি আমি। হয়তো এতোটা ভালোবাসা তোমার ভালো লাগেনি। আমি আজ হার মানলাম। হয়তো একটাই হয়তো ভুল ছিল আমার, আমি তোমাকে আমার মতো করে ভালবাসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি বুঝিনি  এভাবে ভালবাসতে যেয়ে তোমাকে একটা খাঁচাই বন্দী করে ফেলেছিলাম। কবি গুরু হয়তো মদ খেয়ে মাতাল হয়ে বলেছিলেন- তুমি যদি কাউকে ভালোবাসো তবে তাকে মুক্তি দাও, যদি সে ফিরে আসে তবে সে তোমার। আর যদি ফিরে না আসে তবে সে কোনদিনই তোমার ছিলনা, থাকবেও না। আমি কবি গুরুর মতো অতো উদার না আজ মাতালও হয়নি যে তোমাকে মুক্ত করে দেখবো তুমি ফিরে আসো কিনা। কবি গুরু হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন ভালোবাসাটা কোন জোয়া খেলা না। তাই আজ তোমাকে মুক্তি দিলাম একেবারেই সত্ত্ব ত্যাগ করে। ফিরে আসলেও আগের এই আমাকে আর পাবেনা। যদি সত্যিই ভালবাসতে তবে এই বুকের খাঁচাতেই সারাজীবন থাকতে চাইতে। কখনো চলে যেতে না। সবশেষে একটা কথাই বলব...
কিছু বোকা ছেলে এবং কিছু বোকা মেয়ে আছে,যারা তাদের ভালোবাসার মানুষের কাছে ধোঁকা খেয়েছে,কষ্ট পেয়েছে,ভালবাসায় বের্থ হয়েছে,এখনও তার জন্য কষ্ট পায়,রাতের অন্ধকারে কাঁদে।নি স্বার্থ ভাবে তাকে এখনও ভালোবাসে এবং সারা জীবন তার অপেক্ষায় থেকে ভালবেসে যাবে।
যেকোনো মানুষের জীবনের ভালোবাসার সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরনঃ- যখন কেকের টুকরা পাঁচটা কিন্তু পরিবারে মানুষ ছয় জন, ... ... তখন শুধু মা বলে "আমি কেক পছন্দ করিনা"...... ♥ মা তোমাকে হৃদয় এর গভীর থেকে ভালোবাসি!!! ♥ পোষ্ট ভাল লাগলে [♥]Like [♥] Comment [♥] Tag [♥] Share [♥] করুন।
আজও কি আমায় মনে পরে , যেমন টা আগে পরত তোমার? আজও কি আমার কথাগুলো তোমার কি মনে পরে যেমন টা আমার পরে তোমার কথা গুলো ? আজও কি আমাকে দেওয়া তোমার স্মৃতি গুলো কি তোমায় ছুয়ে দেয় , যেমনটা আমাকে ছুয়ে দেয় প্রতিনিয়ত ? আজও কি আমার এসএমএস গুলো পড়ে হাস তুমি , যেমনটা আমি হাসি পড়ে? আজও কি আমার ফোনের অপেক্ষায় বসে থাক , যেমনটা আমি থাকি সারাদিন তোমার ফোনের অপেক্ষায় ? আজও কি আমায় আগের মত ভালোবাসো , যেমনটা ভালবাসি তোমায় আজও...........
Image
একটা মেয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে... সে বুঝতে পারলো একটা ছেলে থাকে অনুসরণ করছে। কিছুক্ষণ যাওয়ার পর মেয়েটা দাড়িয়ে রইল এবং পিছনে ফিরে দেখল যে ছেলেটাও দাড়িয়ে আছে.... মেয়েটা ছেলেকে ডেকে আনল এবং জিজ্ঞাসা করলো, তুমি আমার পিছু নিয়েছ কেনো? ছেলেটা বলল , আমি তোমাকে ভালোবাসি। এটা শুনে মেয়ে বলল , তোমার পিছনে দেখো আমার থেকে সুন্দর একটা মেয়ে আসছে !!!!! তখন ছেলেটা পিছন ফিরে তাকাল এবং দেখল যে কেউ নেই!!!!!!!!!!!! তখন মেয়েটা বলল , তুমি যদি সত্যি আমাকে ভালবাসতে তাহলে তুমি সুন্দর ওই মেয়েকে দেখার জন্য পিছনে ফিরে তাকাতে না। তুমি আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে! তোমার যেটা হয়েছে সেটা ভালোবাসা না সেটা ভালোলাগা ..... ভালো লাগলে লাইক দিবেন প্লিজ.... By: Ashik JAki www.facebook.com/ashik.jaki1
ভালোবাসার সত্য কাহিনী(The True Love Story) তাজমহল হইল symbol of love........... ..... ঠিক আছে, কিন্তু আমরা অনেকেই কয়টা জিনিস জানিনা.... ১. মমতাজ ছিল শাহজাহান এর ৭ বউয়েরমাঝে ৪ নাম্বার. ২. শাহজাহান মমতাজ এর আগের স্বামী রে খুন করসিল মমতাজ রে বিয়ে করার লাইগা. ৩.মমতাজ এর মৃত্যুর পর শাহজাহান বিয়ে করে মমতাজ এর আপন বোন রে....!! এখন আপনারাই বলেন...... এত্তবড় লুইচ্চা পাবলিক fake ভালবাসা নিয়া খালি পয়সার জোর দেখাইয়া ১টা বিল্ডিং বানাইয়া ইতিহাস কইরা ফেলল...... তাইলে আমাগো মনে যে pure love আছে, সে জন্য আমাদের কে ইতিহাসে ১ টা placeদেয়া উচিৎ......না??? ?
একজন প্রকৃত প্রেমিক.. কোন কারন ছাড়াই আপনাকে ফোন করবে.. সব সময় টেক্সট [Text] করবে.. দেখা করার জন্য কান্নাকাটি জুরে দিবে.. জেলাস [Jealous] হবে.. আপনার দেখাশুনা করবে.. আপনাকে খুশি রাখতে চেষ্টা করবে.. ঝগড়া করবে.. এবং ভালোবাসবে.. ♥ By: Ashik JAki
ভালবাসা ছকে বাঁধা কোনো ঘর নয়..... যে আপনি তাকে ছকের মাঝে আটকে রাখবেন.....। ভালবাসা হচ্ছে মনের একান্ত অনুভূতি..... যা শুধু মাত্র আপনার প্রিয় মানুষটির জন্য আপনার মনে ধীরে ধীরে জমতে থাকে.....! ভালবাসা অন্তহীন.. তাই আপনার কাছের মানুষটিকে ভালবাসুন গতকালকের থেকে বেশি কিন্তু আগামীকালকের থেকে কম.....। এবং ভালবাসার মানুষটিকে ভালবাসুন আপনার সবটুকু ভালবাসা দিয়ে নিজের মত করে! :)

তোমার ভালোবাসা ছাড়া আমি বাঁচব না

Image
একদিন একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরছিল। ছেলেটি গাড়ি চালাচ্ছিল। মেয়েটিকে নীরব বসে থাকতে দেখে সে আন্দাজ করতে পেরেছিল কিছু হয়েছে। মেয়েটি তখন সেই নীরবতা ভেঙ্গে বলল " আমি এখন আর তোমাকে ভালোবাসি না।। আমি অনেক ভেবে দেখেছি আমাদের আলাদা হয়ে যাওয়াই উচিত হবে। " কথাটি শুনে ছেলেটি চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পরল, এবং সে পকেট থেকে একটা চিরকুট বের করে মেয়েটিকে দিল। ঠিক তখনি একটা ট্রাক তার নিয়ন্ত্রণ হারা...নোর ফলে গাড়িটির দিকে ছুটে আসতে লাগলো। ছেলেটি ট্রাকটিকে তাদের দিকে আসতে দেখে হঠাৎ গাড়িটি ঘুরিয়ে নিল, যার ফলে ট্রাকটি সোজা চালকের বসার স্থানটিতে আঘাত করল। ছেলেটি তার ভালোবাসার মানুষটিকে বাঁচানোর একটা ক্ষীণ চেষ্টা করল। হয়ত তার এই চেষ্টায় সৃষ্টিকর্তাও মুগ্ধ হয়ে গেলেন। তাইতো আশ্চর্যভাবে মেয়েটি বেঁচে গেলোএত ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরও। মেয়েটি অবাক বিস্ময়ে ছেলেটির রক্তাক্ত মৃতদেহটির পাশে বসে ছেলেটির দেয়া চিরকুটটি পড়ল।তাতে লেখা ছিল - ........." তোমার ভালোবাসা ছাড়া আমি বাঁচব না।"

ভালোবাসার শেষ চিঠি

Image
একটি মেয়ে একটি ছেলেকে পাগলের মত ভালবাসে ভালোই চলছিল তাদের দিন কাল ১ বছর পর মেয়েটা খেয়াল করল ছেলেটা তাকে আর আগের মত ভালবাসে না..... তাকে avoid করে চলে..... একটা সময় ছেলেটা মেয়েটার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলো..... মেয়েটা জানতে পারলো ছেলেটার নতুন গার্লফ্রেন্ড হয়েছে..... মেয়েটা এই বিষয় নিয়ে ছেলেটিকে প্রশ্ন করতেই সে বলে অতীত ভুলে যাও..... মেয়ে টা বেইমান বলে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে এলো..... সে কিছুতেই ছেলেটিকে ক্ষমা করতে পারলো না..... এই ঘটনার ৬মাস পরে মেয়েটার কাছে ছেলেটার মৃত্যু সংবাদ এলো..... ছেলেটা মারা যাবার আগে মেয়েটার জন্য একটা চিঠি রেখে গিয়েছিল..... ছেলেটার এক বন্ধু এসে মেয়েটাকে টা দিয়ে গেলো..... মেয়েটা রাগে চিঠি টা ফেলে রাখলো রাতেছেলেটার কথা খুব মনে পড়ছিল..... সে চিঠিটা খুলে পরতে শুরু করলো..... 'বিধাতার করুন পরিহাসে আমরা এক হতে পারলাম না যেদিন আমি জানলাম আমি আর ৬ মাস বাঁচব..... সেদিন থেকে বুকে পাথর চেপে তোমার সাথে অভিনয় শুরু করলাম..... ভেবেছি তুমি আমাকে ভুল বুঝে দূরে সরে যাবে..... তাই তোমার থেকে দূরে থেকেছি..... যখন তুমি এটা পড়বে আমি তোমার থেকে অনেক দূরে থাকবো....

পালিয়ে যাবো

আমার একটা স্বপ্ন আছে, ভালোবাসার মানুষটির হাত ধরে পালিয়ে অনেক দূরে অচেনা কোথাও যেয়ে বিয়ে করা। সেখানে আমরা সাতটি দিন সম্পূর্ণ আমাদের নিজেদের মতো থাকবো, নিজেদের মতো করে জীবনটাকে গুছিয়ে নিবো। আমার জীবনের সব গল্প তাকে বলবো , সেও তার জীবনের সব গল্প আর ইচ্ছার কথা আমাকে জানাবে। সেইসাতটি দিন হবে আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। জানি, আমার এই ইচ্ছাটি কখনো এই সমাজ ভালো চোখে মেনে নিবেনা। আর কখনো কোন মেয়ে আমাকে এতোটা ভালোবাসতে পারবেনা যে আমার স্বপ্নপূরণের জন্য আমার সাথে পালিয়েজেতে চাইবে। তবুও আমার প্রতিদিন একই স্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙে, আমার ভালোবাসারমানুষটি তার হাত আমার হাতে তুলে দিয়েবলছে, “এই তোমার স্বপ্নপূরণ করবেনা ? জানো, তোমার স্বপ্নটা আমারও স্বপ্ন। জীবনটাতো আমাদেরই, তবে কেন সমাজের ভয়ে আমরা পারবোনা আমাদের স্বপ্নপূরণকরতে”। আমার স্বপ্নেদেখা সেই মেয়েটি কে আমি জানিনা। তার মুখটাও স্পষ্ট দেখতে পায়না। তবুও যদি সে কখনো বাস্তবে এসেআমার স্বপ্নপূরণ করে, তবে তাকে আমি কখনো হারাতে দেবো না। আমার সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে তাকে সারাজীবন আগলে রাখবো।

রক্ত

গল্পটি ফিজা নামের একটি ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে যে এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলো।ফিজার দেহে অনেক রক্তের প্রয়োজন ছিলো যা কিনা শুধুমাত্র তার পাঁচ বছর বয়সের ছোট ভাই-ই দিতে পারবে।এর কারন হলো তার ছোট ভাইটিও অলৌকিকভাবে একই রোগের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলো এবং তার রক্তে এই রোগের বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরী হয়েছিলো। ডাক্তার তাই এই ছোট ভাইটিকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করলো এবং তার ভাইকে জিজ্ঞেস করলো সে স্বেচ্ছায় তার বোনটিকে রক্ত দিতে রাজি আছে কিনা। ডাক্তারের এই কথা সে এক সেকেন্ডের জন্যে দ্বিধা করলো,এরপর একটা বড় নিশ্বাস নিলো এবং বললো যে, 'আমি ফিজাকে রক্ত দিতে রাজি আছি,যদি সে এতে বেঁচে যায়।' রক্ত দেওয়ার সময় তাকে যখন ফিজার পাশের বেডে শুইয়ে দেয়া হলো তখন সে তার বোনের দিকে তাকিয়ে সুন্দর একটা হাসি দিলো যেমনটা আমরা সবাই আমাদের বোনকে দেখে করি।এরপর তার চেহারা একটু মলিন হয়ে গেল এবং তার হাসিও বিবর্ণ হয়ে গেল।সে তার পাশে থাকা ডাক্তারের দিকে তাকালো এবং তার বোন যাতে শুনতে না পায় এমন ফিসফিস করে বললো,’আমি কি রক্ত দেয়া শুরু হলেই মারা যাওয়া শুরু করবো?’ ছেলেটি এত ছোট ছিলো যে সে কারো জন্য রক্ত দেওয়া...

"মিথ্যাবাদী মা"

Image
এতটা দিন পেরিয়ে আজো মায়ের জন্য কাঁদি কারণ আমার মা যে ছিল ভীষণ মিথ্যাবাদী। বাবা যেদিন মারা গেল আমরা হলাম একা ... সেদিন থেকেই বাঁক নিয়েছে মায়ের কপাল রেখা। মা বলতো বাবা নাকি তারার ভিড়ে আছে ... লেখাপড়া করি যদি নেমে আসবে কাছে। তারায় তারায় বাবা খুঁজি তারার ছড়াছড়ি আমার মায়ের মিথ্যে বলার প্রথম হাতে খড়ি। পাড়া পড়শী বলল এসে এই বয়সেই রাঢ়ি ! একা একা এতটা পথ কেমনে দিবে পাড়ি। ভাল একটা ছেলে দেখে বিয়ে কর আবার মা বলল, ওসব শুনে ঘেন্না লাগে আমার। একা কোথায় খোকন আছে, বিয়ের কী দরকার? ওটা ছিল আমার মায়ের চরম মিথ্যাচার। রাত্রি জেগে সেলাই মেশিন, চোখের কোণে কালি নতুন জামায় ঘর ভরে যায় মায়ের জামায় তালি। ঢুলু ঢুলু ঘুমের চোখে সুই ফুটে মা’র হাতে আমি বলি, শোও তো এবার কী কাজ অত রাতে? মা বলত ঘুম আসে না শুয়ে কী লাভ বল? ওটা ছিল আমার মায়ের মিথ্যা কথার ছল। স্কুল থেকে নিতে আসা গাড়ী ঘোড়ার চাপে আমার জন্য দাড়ানো মা কড়া রোদের তাপে। ঘামে মায়ের দম ফেটে যায়, দুচোখ ভরা ঝিম ভ্যানিটি ব্যাগ খুলে আমায় দিত আইসক্রিম। মায়ের দিকে বাড়িয়ে ধরে বলতাম একটু নাও মলিন হেসে মা বলত, খাও তো বাবা খাও। আমার আবার...

প্রেমের অভিনয়

Image
একটি ছেলে একটি মেয়েকে ভালবাসতো। সে কখনোয় মেয়েটিকে কষ্ট দিতনা।কিন্তু মেয়েটি তার সাথে শুধুমাত্র প্রেমের অভিনয় করতো।কিন্তু ছেলেটা মেয়েটাকে খুব মানে জীবনের চেয়ে বেশী ভালবাসতো। একদিন মেয়েটি ছেলেটিকে ছেরে চলে গেল। ছেলেটি বহু চেষ্টা করে একটা চিঠি লিকলো, আমার প্রিয় সনিয়া, তুমাকে আমি খুব ভালবাসতাম,কিন্তু তুমি আমাকে ভালবাসতে পারনি,কিন্তু একথা জেনে রেখ আমি তুমাকে সারাজীবন ভালবেসেই যাবো। তুমি যদি মনে কর আমাকে কষ্ট দিয়ে তুমি সুখী হবে তবে সুখেই থাক।আমি তুমাকে বাধা দেবনা, তুমার জীবনে বাধা হয়ে দাড়াবনা, তুমি সুখি হলেই আমি সুখি।বের্ত্য ভালবাসাকে সংগি করেই বেচে থাকব।আমার মৃত্যুর সংবাদ জদি পাও, পারলে লাশটাকে একবার এসে দেখে যেও       www.facebook.com/ashik.jaki1  

'মা'

Image
একদিন ৭ বছরের এক বালক তার আম্মুকে বললো, আম্মু! আমাকে আগামী বছর ঈদে কি দিবে? আম্মু বললেন, এখনো তো অনেক সময় আছে...দেখা যাক... ছেলেটি ঈদের কিছুদিন আগেই হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলো.. দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলো...ডাক্তার ছেলেটিকে পরীক্ষা করে ছেলেটির ... মা ও বাবাকে বললো, আপনার ছেলের হার্টে একটি ছিদ্র ধরা পড়েছে.. দ্রুত হার্ট পরিবর্তন না করলে তাকে বাচাঁনো যাবে না... যখন মা ছেলেটিকে কে দেখতে গেলো...ছেলেটি তার মা, কে বললো, আম্মু! আমি কি মারা যাবো? মা বললেন, না, তুমি শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবে। আম্মু - তুমি কিভাবে জানো? ডাক্তার বলেছে,। আব্বু তুমি চিন্তা করনা- আমি জানি আব্বু, তুমি অবশ্যই সুস্থ হয়ে যাবে। . . ছেলেটি দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর ঈদের দিন সুস্থ হয়ে বাসায় আসলো... বাসায় আসার পরে তার বাবা তাকে একটি চিঠি পড়তে দিলো...চিঠিটা ছেলেটির মায়ের লেখা... . "প্রিয় আব্বু আমার এই চিঠি ! তুমি যখন পড়ছো তার অর্থ হলো সবকিছু ঠিক মতোই হয়েছে এবং তুমি সুস্থ আছো যেমনটি আমি বলেছিলাম... মনে আছে? একদিন তুমি প্রশ্ন করেছিলে, আগামী ঈদে কি উপহার দিবো। তখন আমি জানতাম না কি দিবো...কিন্তু যখন তুমি অসুস্থ ...

না বলা ভালোবাসা

Image
“বিশ্বাস করবে কিনা জানি না, যখন এ লেখাগুলো লিখছি, অঝোর ধারায় কাঁদছি আমি। কিন্তু আমি চাইনি কাঁদতে। কখনো ভাবিনি এভাবে হারিয়ে যাবো তোমাতে... কক্ষনো ভাবিনি আগে। কিন্তু ফান করে কথা বলতে বলতে কখন যে তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি, নিজেও বুঝতে পারিনি। জানি, অনেক রাগ করে আছো তুমি আমার উপর; রেগে থাকাই স্বাভাবিক। আমার যে আর কিছু করার ছিলোনা। তোমাকে আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে আর তোমার ব্যাথা বাড়াতে চাইনি। তোমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা এ আড়াই মাস এর প্রতিটি রাতে আমি কেঁদেছি। প্রতিটি ক্ষণে, প্রতিটি মূহুর্তে মনে পড়েছে তোমার সাথে রাতজেগে বলা প্রতিটি কথা। তোমার বউজান ডাক; শুধু কানে বাজে। সত্যি বলতে খুব ভালো লাগতো যখন বউজান বলে ডাক দিতে... এসব ভালোলাগার মাঝেই আমি বাধা পড়ে গিয়েছিলাম। হয়তো তুমি দেখতে সুন্দর না, কিন্তু তোমার মনটা খুব সুন্দর। সেকথা থাক। আর তোমার মুল্যবান সময় নষ্ট করতে চাই না। ভালো থাকবে নাট-বল্টু। ইতি তোমার বউজান” ভ্রু কুচকে এতক্ষন দীপ্রা’র পাঠানো মেসেজটা ফেইসবুকে দেখছিলো দ্বীপ। চিন্তাগুলো কেনো যেন তার সাথে প্রতারনা করছে। দীপ্রা সেই মেয়ে, যে মেয়ের সাথে তার চার মাসের ফ্লার্ট...

জানটু সোনা

জানটু সোনা, বলো না আমরা কবে দেখা করবো? এতো তাড়া কিসের মনটু সোনা। তাড়া আর কই জান ! তিনমাস হয়ে গেলো তোমার সাথে শুধু ফোনেই কথা হচ্ছে। তোমার বুঝি একটুও আমাকে দেখতে মন চায় না ! ... ধুর্ , আমি কি তাই বলেছি নাকি ! আচ্ছা তোমার মনে আছে তুমি প্রথম যখন আমাকে কল করেছিলে কি পরিমাণটাই বকা দিয়েছিলাম। তারপরও তুমি নিয়মিত কল দিতে। মনে আবার থাকবে না !!! তোমাকে কল করার আগে মেয়েরা যে ওভাবে গালিগালাজ করতে পারে আমি জানতাম না। এরপরও নিয়মিত কল দেয়ার পুরস্কার তো পেয়েছি। তোমাকে পেয়েছি আমার সোনা জানটুস । একটা পাপ্পি দাওনা জান। যা দুষ্ট।তোমাকে না বলেছি আমাকে ওসব কথা বলবে না ? i feel embarrass নাহ্ । তোমার এই জিনিসটাই আমার সবচেয়ে বেশী ভালো লাগে আমার জানপাখী। এবার বলো লুতুপুতু সোনা আমরা কবে দেখা করছি। আবার সেই একই কথা ! আমাকে না দেখলে কি তোমার ভালোবাসা কমে যাবে? কি যে বলো না, ভালোবাসা কমবে না তবে তোমাকে দেখলে যে ভালোবাসাটা আরো বাড়বে তা তুমি চাওনা? বাড়বে না কচু। আমাকে দেখলে দেখা যাবে তুমি আর আমাকে কলও দিবে না। আমি দেখতে খুব পচা। তুমি কল না দিলে আমার যে আর কিছু ভালো লাগবে না হু...

Fake ID

সেদিনে ফেক আইডির মাশুল দিলাম আজকে, সকালে ঘুম থেইকা উইঠা যেই টিভি ছাড়ছি, অমনি টিং টং। দরজা খুলে দেখি তমা! হাতে একগাদা স্পন্জবব, এলমো, মিকি মাউস, আর কি সব হাবি জাবি পশু-প্রাণি নিয়ে আসছে, সাথে একগাদা আচাঁর। চোখ রগরাইতেই পেত্নীটা হড়বড় করে ব লা শুরু করলো! "তুই তো বললি না, কি জানি কি !! জানিও তো না! কি আর করবো! শপিং করার ও তো সময় লাগে!! আর তুই মেয়ের নাম জানতে চাইছিলি এজন্য পুতুলই আনছি। কিন্তু নিউট্...রাল ক্যারেকটার আনছি, যাতে ছেলে হইলেও সমস্যা না হয়! তুই তো ছাই বললি না! অলরেডী ঘৎ ঘৎ করা করে আসছিস? নাকি একটু পরে করবি? আমার সামনে কিন্তু করিস না, তাইলে আমারো শুরু হবে! তানজীল আমারে তখন পঁচানো শুরু করবে!! প্লিজ! মর্ণিং সিকনেস শুরু হইলে আমার সামনে থেকে চইলা যাস!!" হরবর কইরা যখন বলা শেষ করলো! ততক্ষণে আমি ঘটনা বুঝার চেষ্টা করতেছি, যেই কিছু বলতে যাবো! ওমনি দল বেঁধে হুড়মুড় করে আরো কত্তগুলা ঢুকলো! সবগুলার হাতে পুতুল! পিছন পিছন ভ্যাবাচ্যাঁকা খাওয়া ঐ ব্যাটাটাও আছে। তাইলে এগুলা সব তার কাজসাজ?? যেই একটু নড়লাম। সবগুলা মিল্যা সোফার সাথে চাইপ্যা ধরলো! "আরে না না!!...

তুই আমাকে কতদিন ধরে চিনিস?

Image
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিলো, অনেকক্ষন ধরেই, একটানা। রাস্তার দুই প্রান্ত থেকে হেঁটে এসে এক বিন্দুতে দেখা হল তাদের। টিনটিন আর বাবলস্‌ এর। দুইজনের মাথার উপরেই ছাতা, ছাতার উপরে বৃষ্টি (গুড়ি গুড়ি)। টিনটিনের প্রথম চোখে পড়লো বাবলস্‌কে, আর বাবলসে র চোখে পড়লো টিনটিনের হাতের বইটা। 'পরশুরাম সমগ্র!' ... বাবলস্‌ই প্রথম কথা বললো, 'আমারটা হারায় গেসে!' : কি? : পরশুরাম! আর হ্যান্স অ্যান্ডারসন। দুইটাই.... : আমারটা দিতে পারবো না, অনেক কষ্টে জোগাড় করসি। : আমি কি চাইসি তোরটা? চাইসি বল?? দুই লাইন বেশি কি বুঝাই লাগবে তোর? (ক্ষেপে টং!) : না, মানে, এতোদিন পর দেখা, আর কোন কথা না বলেই বইটার কথা বললি, তাই ভাবলাম.... (লজ্জিত!) : যা ভাগ, আর জীবনে কথা বলবো না তোর সাথে... আমি হুদাই লেইট হয়ে গেলাম ক্লাসে... : আমি বুঝছি তো, তুই বইটা চাস নাই... সরি! সরি! সরি! সরি! : হুমমম, আচ্ছা ঠিক আসে। যাহ, এইবারের মতো মাফ করে দিলাম, but I'm really getting late! : তোর আগের নাম্বারটাই তো আছে? : হুমমম, গেলাম, বাই-ই-ই-ই-ই! *********************************************** (১ সপ্তাহ পর) টিনটি...

কাল্পনিক ভাবে আসা বাস্তবিক প্রেম

জীবনে এমন অনেক কিছুই ঘটে যায় যা মানুষ কল্পনাও করেনা। তেমনি একটি ঘটনা… জীবনের বিশটি বসন্ত পার করেও বুঝতে পারিনি মেয়েটি আমাকে এতটা ভালোবাসে। কোনদিন ধারণাও করিনি যে মেয়েটির সাথে সারাজীবন হাতাহাতি করলাম, ঝগড়া করলাম সেই মেয়েটিই আমাকে এতটা ভালোবাসে। মেয়েটির বাবা ও আমার মা একটি সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেন। সেই সূত্রে আমরা দু-জনে সরকারী কোয়ার্টারে ছিলাম, সেখানেই আমাদের দু-জনেরই জন্ম। সে ছিল আমার থেকে বয়সে কিছু দিনের বড়। আমরা একসঙ্গে বড় হই। সপ্তাহের ৭দিন বছরের ৩৬৫দিন আমাদের হাতাহাতি, ঝগড়া লেগেই থাকতো। আমাদের দু-জনের মাঝে কোন মিল ছিল না, যেন চৌম্বক দন্ডের উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু। এস.এস.সি পরীক্ষার পর লেখা-পড়ার কারণে আমি শহরে চলে আসি। কিছুটা হলেও সে একা হয়ে যায়। তার সাথে আমার কিছুটা দূরত্ব তৈরী হয়। যখন বাড়িতে যাই আগের মত ততোটা হাতাহাতি, ঝগড়া হয় না। কিছুটা দূরত্বের কারণে কিছুটা বয়সের কারণে। কিছুদিন আগে যখন আমি বাড়িতে যাই তখন মেয়েটির সাথে দেখা হয়, কথা হয়, কথার এক পর্য়ায়ে মেয়েটি আমাকে বলে তুই আর আগের মত নেই অনেক পাল্টে গেছিস, আমার থেকে অনেক দূরে চলে গেছি...

"আমরা ব্রেকাপ করছি!"

সকাল বেলা ক্রীং ক্রীং শব্দে ঘুম ভাঙলো আম্মার ফোনে। আর ফোন ধরার সাথে সাথে বাসের হেল্পারগুলার মতো আম্মা শুরু করলো! "হ্যা!! কি করো তুমি!! এতোক্ষণ ঘুমাও!! জামাই কি না খেয়ে গেছে?? "হ্যা??" মায়া লেগে ছেলেটার জন্য! তোমার মতো বউ পাইলো! ছেলেটার... জীবণটাই তছনছ!!" যেই আম্মা মায়া লাগার কথা বললো! ওমনি মাথায় টঙ্গ করে উঠলো!! কোন পাপের ফসল হিসেবে আমারে ঘুম থেইকা উঠতে হবে আ্যই বাসের হেলপারদের মতো ক্যাঁচ ক্যাঁচ শুইনা! তার ওপর ওই ব্যাটার জন্য আমার আ্যলার্ম ঘড়ির কাজটা কিনা আমার মাকেই কর তে হবে? এই বিশাল শাস্তির কথা কি আমার আপাদমস্তকের কোথাও লেখা ছিলো?? মেজাজ খারাপ কইরা বললাম, "না! আমরা ব্রেকআপ করছি!!" আম্মা কিছুক্ষণ থাইকা বলে "ফাইজলামি করো??"? "আম্মু আমি এখন এক্স বিবাহিত! আমাকে তুমি কিছু হইলেই এখন ধমকায়তে পারো না! আর ফাজিল বলা তো বিবাহিতের রুলসের টার্ম আ্যান্ড রুলসের ভয়ঙ্কর ভায়োলেশন! " ফোনের ঐপাশে আম্মা যে কতক্ষণ দাত কিড়মিড় করলো! এইখান থেকে পরিস্কার বুঝতে পারতেছিলাম!! দাতগুলা যে আস্ত আছে, আম্মার কথা শুইনাই বুঝছিলাম! আম্মা ...

তবু ও শুধু অপেক্ষা ..... !!!

হঠাৎ ঘুম ভাঙার পর জানালার পর্দা ভেদ করে মৃদু আলো চোখের ওপর পরাতে শরীরের কম্বলটা টেনে মাথাটা ঢেকে নিজেকে জড়সড় করে আবার ঘুমাতে চেষ্টা করলাম। এক চোখে প্রচণ্ড ঘুম ভাব থাকা সত্তেও আর এক চোখ যেন ঘুম না পারার দলে। এক ......চোখ খোলা রেখেই বালিশের পাশে থাকা মোবাইলটা হাতে নিয়ে সময়টা দেখলাম। সময় তখন সকাল ১০.৩০ মিনিট। কি যেন মনে হতে লাগল ঠিক এই সময়টাতে। কি যেন করতে হবে সকাল ১০.৩০ মিনিটে ঠিক মনে করতে পারছিনা। প্রতিদিনই তো এই সময়টাকে ঘিরে কিছু একটা করতে হয় আমাকে কিন্তু আজ কেন মনে পড়ছে না ? ভাবছি হয়ত মনের ভুল, তাই ভেবে নিরব হয়ে দুই চোখের পাতা বন্ধ করে ভাবনার সাগরে ডুব দিলাম। হ্যাঁ মনে পড়ছে কি করতে হবে আমাকে। ভেবেই আমি আনন্দিত কিন্তু কাজটা করার পর কতটুকু আনন্দিত হবো তা একমাত্র ওপরওয়ালা ছাড়া আর কাউকে বুঝাতে পারবনা। প্রথম তোমার কণ্ঠস্বর শুনে দিনের শুরু করতে হয় আমাকে এই সমটাতে। জানি তোমার ফোন ১০ মিনিট কম ১১টাতেই সুইচ অন করবে। তারপরও কেন জানি ঠিক ১০.৩০ থেকেই তোমার ফোনে ট্রাই করতে ভালো লাগে ঠিক এই কথাটার জন্য যে, তোমার মত তারছিরা পাগল আমি আমার জিন্দেগিতেও দেখিনাই যে কিনা গত ১ বছর যাবত এ...

Popular posts from this blog

হৃদয় ছোঁয়া কিছু কথা ।

ভালোবাসার শেষ চিঠি