জানটু সোনা

জানটু সোনা, বলো না আমরা কবে দেখা করবো?

এতো তাড়া কিসের মনটু সোনা।

তাড়া আর কই জান ! তিনমাস হয়ে গেলো তোমার সাথে শুধু ফোনেই কথা হচ্ছে। তোমার বুঝি একটুও আমাকে দেখতে মন চায় না !
...

ধুর্ , আমি কি তাই বলেছি নাকি ! আচ্ছা তোমার মনে আছে তুমি প্রথম যখন আমাকে কল করেছিলে কি পরিমাণটাই বকা দিয়েছিলাম। তারপরও তুমি নিয়মিত কল দিতে।

মনে আবার থাকবে না !!! তোমাকে কল করার আগে মেয়েরা যে ওভাবে গালিগালাজ করতে পারে আমি জানতাম না। এরপরও নিয়মিত কল দেয়ার পুরস্কার তো পেয়েছি। তোমাকে পেয়েছি আমার সোনা জানটুস । একটা পাপ্পি দাওনা জান।

যা দুষ্ট।তোমাকে না বলেছি আমাকে ওসব কথা বলবে না ? i feel embarrass নাহ্ ।

তোমার এই জিনিসটাই আমার সবচেয়ে বেশী ভালো লাগে আমার জানপাখী। এবার বলো লুতুপুতু সোনা আমরা কবে দেখা করছি।

আবার সেই একই কথা ! আমাকে না দেখলে কি তোমার ভালোবাসা কমে যাবে?

কি যে বলো না, ভালোবাসা কমবে না তবে তোমাকে দেখলে যে ভালোবাসাটা আরো বাড়বে তা তুমি চাওনা?

বাড়বে না কচু। আমাকে দেখলে দেখা যাবে তুমি আর আমাকে কলও দিবে না। আমি দেখতে খুব পচা। তুমি কল না দিলে আমার যে আর কিছু ভালো লাগবে না হুম।
ধুর পাগলী, আমাকে তুমি এই বুঝলে ? আচ্ছা তুমি আমার সাথে দেখা করো। তুমি দেখতে শাকচুন্নি হলেও আমি তোমাকে ভালোবাসবো , আজীবন।

হুম, আচ্ছা ঠিক আছে, দেখি তোমার ভালবাসা কেমন নিখাদ । গুলশান ২ নাম্বারে যে পার্কটি আছে তার ভেতরে একটি মাত্র বসার বেঞ্চ আছে যেখানে ছাউনী দেয়া আছে। আমি কাল ৪টায় ওখানে নীল সেলোয়ার কামিজ পরে অপেক্ষা করবো।

আমি ঠিক শুনছি তো ! বিশ্বাস হচ্ছে না। তুমি সত্যি আমার সাথে দেখা করবে?

তুমি আমাকে এতো ভালোবাসতে পারো আর আমি তোমার এই ছোট আব্দারটি রাখতে পারবো না। কাল দেখা হবে তোমার আমার। আজ রাখি সোনাপাখি ?
ওকে সোনা। আমি প্রহর গুনা শুরু করলাম।
-----------------------------------------------------------------
পরের দিন ৪টায় একটি নীল সেলোয়ার কামিজ পরা মেয়ে পার্কের একমাত্র ছাউনী দেয়া বেঞ্চে কারও জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেল। সে অস্থির হয়ে কিছুক্ষণ পরপর হাতে ধরে রাখা মোবাইলে কার নাম্বার যেন ডায়াল করছিল। প্রায় আধঘন্টা পর ডায়ালকৃত নাম্বারটি কেউ রিসিভ করলো আর সাথে সাথে মেয়েটি অভিযোগের সুরে বলে উঠলো, " আফা, কই গেলেন আমারে একা বসায় রাইখ্যা? এহানে কত মানুস আশপাসে ঘুরতাছে। আফা আমার ডর লাগতাছে।"
" সোজা গেট দিয়ে বের হয়ে রাস্তায় চলে আয়। আমি গাড়িতে আছি।"
-------------------------------------------------------------------
কিরে দোস্ত, তোরে দুইদিন ধরে ট্রাই করতেছি নাম্বার অফ কেন?

নাম্বারটা পাল্টাইতে হইলোরে।

ওহ বুঝছি। এই মেয়েও মনের মতো হইলো না। কয় নম্বরটা গেলো রে?

আর কইসনা দোস্ত, ফোনে গলার আওয়াজ শুনলে মনে হয় সুসমিতা সেনের লাহান হবে। দেখা করতে গিয়া দেখি পেত্নীরেও হার মানায় । দুর থেকে একঝলক দেখে ব্যস মোবাইল থেকে সিমটা খুলে ছুড়ে দিয়ে চলে আসছি।

তুই আর চেঞ্জ হবিনারে । বেষ্ট অব লাক।
 
 
 

Comments

Popular posts from this blog

হৃদয় ছোঁয়া কিছু কথা ।

ভালোবাসার শেষ চিঠি