রক্ত
- Get link
- X
- Other Apps
গল্পটি ফিজা নামের একটি ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে যে এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলো।ফিজার দেহে অনেক রক্তের প্রয়োজন ছিলো যা কিনা শুধুমাত্র তার পাঁচ বছর বয়সের ছোট ভাই-ই দিতে পারবে।এর কারন হলো তার ছোট ভাইটিও অলৌকিকভাবে একই রোগের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিলো এবং তার রক্তে এই রোগের বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরী হয়েছিলো।
ডাক্তার তাই এই ছোট ভাইটিকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করলো এবং তার ভাইকে জিজ্ঞেস করলো সে স্বেচ্ছায় তার বোনটিকে রক্ত দিতে রাজি আছে কিনা। ডাক্তারের এই কথা সে এক সেকেন্ডের জন্যে দ্বিধা করলো,এরপর একটা বড় নিশ্বাস নিলো এবং বললো যে,
'আমি ফিজাকে রক্ত দিতে রাজি আছি,যদি সে এতে বেঁচে যায়।'
রক্ত দেওয়ার সময় তাকে যখন ফিজার পাশের বেডে শুইয়ে দেয়া হলো তখন সে তার বোনের দিকে তাকিয়ে সুন্দর একটা হাসি দিলো যেমনটা আমরা সবাই আমাদের বোনকে দেখে করি।এরপর তার চেহারা একটু মলিন হয়ে গেল এবং তার হাসিও বিবর্ণ হয়ে গেল।সে তার পাশে থাকা ডাক্তারের দিকে তাকালো এবং তার বোন যাতে শুনতে না পায় এমন ফিসফিস করে বললো,’আমি কি রক্ত দেয়া শুরু হলেই মারা যাওয়া শুরু করবো?’
ছেলেটি এত ছোট ছিলো যে সে কারো জন্য রক্ত দেওয়ার অর্থ বুঝতো না,সে ভেবেছিলো যে তার শরীরের সবটুকু রক্ত ফিজার জন্যে নিয়ে নেয়া হবে।তবু সে তার বোনকে বাঁচানোর জন্য তা দিতে রাজী হয়েছিলো।
আমাদের আজ এই ছোট্ট ছেলেটির মত হতে হবে।দুঃখের কথা আমরা আজ সম্পর্কের মূল্য দিতে ভুলে গিয়েছি।আমাদের এই কাজ থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত আর আমাদের প্রিয়জনদের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকা উচিত।
আমাদের আজ এই ছোট্ট ছেলেটির মত হতে হবে।দুঃখের কথা আমরা আজ সম্পর্কের মূল্য দিতে ভুলে গিয়েছি।আমাদের এই কাজ থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত আর আমাদের প্রিয়জনদের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকা উচিত।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment